মাগুরা প্রতিনিধি: দেশব্যাপী আলোচিত মাগুরার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আজ সোমবার বাদীসহ ৮ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এম. জাহিদ হাসান মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, মামলায় অভিযুক্ত সকল আসামিকে সকালে আদালতে উপস্থিত করা হয়। বিচারক মামলার বাদী শিশু আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার, সাক্ষী ইব্রাহিম শেখ, শিশু সাক্ষী হযরত ও সাক্ষী দেলোয়ার হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আগামীকাল মঙ্গলবার মামলার চার্জশিটের ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশু আছিয়া। এ ঘটনার পর মাগুরা ছাড়াও সারাদেশে শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামে। গত ৮ মার্চ পুলিশের অভিযুক্ত এই চারজনকেই আসামি করে সদর থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন শিশুটির মা। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ মারা যায় শিশুটি।
এ ঘটনার পর পুলিশের রিমান্ড চলাকালে মামলাটির প্রধান আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ১৫ মার্চ শনিবার বিকালে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। যেখানে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেয়। পরবর্তীতে গত ১৩ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আলাউদ্দিন সরদার শিশুটির মায়ের দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত চার আসামি আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোনের জামাই সজিব শেখ ও সজিবের বড় ভাই রাতুল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এছাড়া গত ২৩ এপ্রিল এ মামলার চার্জ গঠন করা হয়।