সংস্কারের জন্য বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে ইউরোপের ২৭ রাষ্ট্রের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।আজ সোমবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিকাবের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে (ডিকাব টক) ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এ কথা বলেন।
Pause
Mute
Remaining Time -9:47
Close PlayerUnibots.com
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ড, দায়ীদের বিচার, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সংস্কার কার্যক্রম এবং আগামীর নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আকাঙ্খাসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে কথা বলেন মাইকেল মিলার।
বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন কখন হতে পারে? উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে ইইউ কি চায়? নির্বাচন কমিশন, সরকার এবং অন্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনায় ইইউ কি বুঝতে পেরেছে? এমন বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কখন পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনটি হওয়া উচিত সে বিষয়ে বাংলাদেশই সিদ্ধান্ত নিবে। তবে তার আগে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া উচিত। কারণ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কার এখন বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।’
নির্বাচনের আগে সংস্কার জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে আমি একটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাই, তা হলে নির্বাচনের সময় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ওপর আমাদের (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো একত্রে কাজ করবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করি। সেই সঙ্গে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতে প্রত্যেকের বিচারে স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হওয়ার আশা করছি। ’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সমর্থন করে ইইউ। এমন কাঙ্খিত নির্বাচনে সহায়তা দিতে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ’
রাখাইনে মানবিক করিডর নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উভয় পাশেই ভুক্তভোগীদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। সবাই যেন সমানভাবে ত্রাণ সহায়তা পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ’
উন্মুক্ত সেশনে এক প্রশ্নের জবাবে ইইউ দূত বলেন, ‘ইউরোপে পাচার হওয়া অর্থ যদি বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ফেরত আনতে চায় তবে এ নিয়ে রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যথাযথ তথ্য উপাত্ত নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি শেষ হতে ৩-৪ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’