জুলাইয়ে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে জুলাই স্পিরিট ধারণকারী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে ‘জুলাই ঐক্য’ নামে একটি ঐক্যজোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে।
গঠিত এই ঐক্যজোটে রয়েছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ, ইনকিলাব মঞ্চ, এন্টি ফ্যাসিস্ট কোয়ালিয়েশন, এলায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ, একতার বাংলাদেশ, রক্তিম জুলাই, স্টুডেন্ট রাইট ওয়াচসহ মোট ৩৫টি সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এসময় সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ। এছাড়াও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী বিপ্লবীদের সাংবিধানিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামী ৭ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা দেখছি গণহত্যার সাথে জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়া এখনো অনিশ্চিত। সব থেকে বড় উদ্বেগের বিষয় এই যে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বেসরকারি মহলের কিন্তু অংশ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। যা একদিকে শহিদ, আহত ও পঙ্গু জনগণের আত্মত্যাগের চূড়ান্ত অপমান।
জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী বিপ্লবীদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংকায় রয়েছে বলে তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোষরা বিভিন্ন দাবি তুলে জুলাইয়ে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদেরকে বিতর্কিত করতে চায়। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করেই, আমরা বিভিন্ন মতাদর্শের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ নিয়ে আজ ‘জুলাই ঐক্য’ নামে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় জোটের ঘোষণা করছি।
তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই ঐক্য’ জোটের মূল ও একমাত্র দাবি হচ্ছে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের সাংবিধানিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও ২৪ এর গণহত্যা, শাপলা ট্রাজেডি, পিলখানা ট্রাজেডি, গুম, খুন, দূর্নীতি সহ বিগত সাড়ে ১৫ বছরে যে সকল অপকর্ম সংঘঠিত হয়েছে তার সাথে জড়িত সকলের বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজনীয় ক্যাম্পেইন জারি রাখা।