পিরোজপুর: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলাকেটে অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৭০) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩৫)। হত্যার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত ওবায়দুল হক খান বাদল (৪৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওবায়দুল হক বাদল খান এরআগে তিনটি বিয়ে করেছেন। সর্বশেষ এ বছরের ১৬ এপ্রিল তিনি চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে এ পরিবারেই বাস করতে থাকেন। সোমবার রাতে হঠাৎ করে চাপা শব্দে ঘুম ভাঙে বাদল এর ছেলে ইয়াসিনের। সে পাশের রুমে গিয়ে দেখে রক্তাক্ত হয়ে আছে বিছানা ও মেঝে। খাটে পড়ে আছে দুইজনের লাশ। পরে দৌঁড়ে বাইরে এসে প্রতিবেশীদের ইয়াসিন জানায় তারা বাবা সৎ মা ও নানীকে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে চম্পার মামাতো বোন নাছিমা এসে দেখেন দুজনের লাশ পড়ে আছে। এ সময় তাদের শরীরে আগুন জ্বলছিল।
নাছিমা বেগম বলেন, চম্পার ছেলে দৌড়ে আমাদের ঘরে এসে বলে খালা মা আর নানিরে মাইরা ফেলাইছে। শুইনা আমি দৌড়ে এসে দেখি চম্পার বুকের উপর আগুন জ্বলতেছে। এক বালতি পানি ছিল কাছে তাই গায়ে ঢেলে দিয়ে আগুন নিভাইছি। আমাদের দেখে বাদল পালিয়ে গেছে।
চম্পা বেগমের ফুফাতো বোন বলেন, খবর পাইয়া আসছি। আইসা দেখি চম্পা আর মামানি মাটিতে পইরা আছে। আর কিছু জানি না।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ার বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অভিযুক্ত ওবায়দুল হক বাদল খান পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে কি কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি পুলিশ কিংবা নিহতের স্বজনরা। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।