জীবনযাপন ডেস্ক: শ্বাসকষ্ট হলে প্রথমেই মাথায় আসে হৃদরোগ আর ফুসফুসের নানা জটিলতার কথা। কারণ এসব রোগকে আমরা ভয় পাই কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা।
তারা বলছেন, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগতে না চাইলে ৭টি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলো হলো-
১. ডিম: স্বাস্থ্যকর ও প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবারটি হাঁপানির সময় না খাওয়াই ভালো। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে আর এই প্রোটিন অ্যালার্জির উদ্রেক করে হাঁপানি বাড়ায়।
২. দুধ: ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস হলো দুধ। দাঁত ও হাড় মজবুত করার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন রয়েছে, কিন্তু দুধে থাকা প্রোটিন হাঁপানির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। যখন হাঁপানির সমস্যা বেশি পরিমাণে দেখা দিবে, তখন দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. চিনা বাদাম: স্বাস্থ্যকর একটি খাবার হলো চিনা বাদাম। হাঁপানি রোগীদের জন্য এই চিনা বাদাম খুবই ক্ষতিকর। গবেষণা বলছে, চিনা বাদাম হাঁপানি সমস্যা বাড়িয়ে দিতে কাজ করে।
৪. ফ্রোজেন খাবার: দোকানে ফ্রোজেন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিনতে পাওয়া যায়। এই ফ্রোজেন আলুর চিপস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ফ্রিজে থাকার কারণে আলু ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। যা হাঁপানি সমস্যা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এছাড়া ফিজে রাখা যেকোনো ঠান্ডা খাবারই শীতকালে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৬. সয়া: প্রোটিন সমৃদ্ধ আরেকটি খাবার হলো সয়া। সয়াতে অ্যালার্জিক প্রোটিন রয়েছে যা হাঁপানি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ভুল খাবার পাশাপাশি ঠান্ডা ও ধুলোবালি শ্বাসকষ্টের রোগীর সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে।
৭. সালফাইটস: সালফাইট শুকনো ফল, ওয়াইন, চিংড়ি, আচারযুক্ত খাবার, লেবুর জুসে পাওয়া যায়।
এসব খাবার শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই শীতে হাঁপানি, অ্যালার্জি কিংবা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে এ ৭ খাবারকে না বলুন।