কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: যৌতুক বিরোধী আইনের মামলায় হাজিরা দিতে এসে কারাগারে গেলেন মো. মোখলেছ উদ্দিন নামে এক পুলিশ সদস্য। আজ মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আসামি মোখলেছ উদ্দিনের বাড়ি করিমগঞ্জ উপজেলার সাঁতারপুর এলাকায় এবং মামলার বাদী মোখলেছ উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তারের বাড়ি করিমগঞ্জ উপজেলার আশতকা গ্রামে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ কনস্টেবল মো. মোখলেছ উদ্দিন তার স্ত্রী ফারজানা আক্তারের কাছে যৌতুক দাবি করেন। এ ঘটনার পর তিনি কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে তার স্বামী মোখলেছ উদ্দিনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে আদালত আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির পর আদালত থেকে অস্থায়ী জামিন নেন মোখলেছ উদ্দিন। বাদীর সঙ্গে খোলা তালাক হয়েছে মর্মে কাগজ দেখিয়ে এই অস্থায়ী জামিনে যান তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে মামলার বাদী সংশ্লিষ্ট বিবাহ রেজিস্ট্রারের শরণাপন্ন হন। এই ধরনের খোলা তালাক হয়নি মর্মে রেজিস্ট্রার থেকে একটি প্রত্যায়নপত্র নেন বাদী ফারজানা আক্তার।
পরে আজ মঙ্গলবার মামলার ধার্য তারিখে আসামি মোখলেছ উদ্দিনের উপস্থিতিতে বাদী ওই প্রত্যায়নপত্র বিচারিক আদালতে উপস্থাপন করেন। পরে উক্ত তালাকের কাগজটি আদালতে বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় বিচারক মেহের আফরোজ আসামি মোখলেছ উদ্দিনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরপর মামলার বাদী আদালত ভবন থেকে নিচে নামতে গেলে আসামির সামনাসামনি হয়। এ সময় আসামি মোখলেছ উদ্দিন পুলিশ কাস্টডিতে থাকা অবস্থায় বাদী ফারজানাকে তার আইনজীবীর সামনেই লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় বাদী একটি দরখাস্তের মাধ্যমে আদালতের নিকট বিচারপ্রার্থী হয়েছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শফিউজ্জামান ভূঞা শফি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে পুলিশ কাস্টডিতে থেকে এ আচরণ নিঃসন্দেহে খারাপ দৃষ্টান্ত।