মহসীন কবির: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সংস্কার কমিশনগুলোর উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ যেন এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করা, যাতে করে পুনরায় কোন ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে। সোমবার সকালে জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, যাতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, জনগণ যেন বুঝতে পারে তাদের অধিকার সুরক্ষিত আছে। তার প্রেক্ষাপটে সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফ্যাসিবাদী আমলের নিপীড়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে। যেন আমরা সকলে মিলে এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে পারি কাউকে এ ধরণের অভিজ্ঞতার মধ্যে না যেতে হয়। সবাই যেন তাদের অধিকার ভোগ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, মানুষ যেন কথা বলতে পারেন, জীবনাচরণের ক্ষেত্রে কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি না হয়। গুমের শিকার না হয়। বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার না হয়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে তাদের অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে আছেন মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী।