ফারজানা হকের পর ব্যাট হাতে ঝলক দেখান শারমিন আক্তার। তাতে নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আবারও বড় স্কোরের আভাস মিলেছিল। কিন্তু শুরুর দুরন্ত পারফরম্যান্সের ছন্দটা আর ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে উঠে ৯ উইকেটে ২২৭ রানের লড়াকু পুঁজি গড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের ক্ষুরধার বোলিংয়ে খেই হারিয়ে না ফেললে আরও বড় পুঁজি গড়তে পারতো দেশের মেয়েরা। আগের তিন ম্যাচে জ্যোতিরা করেছিল- থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭১, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪০ ও স্কটল্যান্ড ম্যাচে ২৭৬।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৬ রানের মাথায় হারায় ওপেনার সোবহানা মোস্তারির (৬) উইকেট। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দল। ১৩৯ বলে ১১৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ফারজানা ও শারমিন। ৭৮ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৪২ রান করেন ফারজানা। আর ৭৯ বলে ১০ চারে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন শারমিন। শেষে নাহিদা আক্তার ব্যাটিংয়ে দ্যুতি ছড়িয়ে দলীয় স্কোরে যোগ করেন ২৫ রান। তাতে দুইশ ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ।
তার আগে নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস ভাগ্য সহায় হয় বাংলাদেশের। লাহোর সিটি অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে টস জিতে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ব্যাটিং বেছে নেন।
থাইল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের পর নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। হ্যাটট্রিক জয়ে নারী বিশ্বকাপের খুব কাছে চলে গেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বাকি দুই ম্যাচ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান) থেকে আর একটি জয় পেলেই বিশ্বকাপের টিকিট কাটবে অধিনায়ক জ্যোতির দল। আজ ক্যারিবীয় কন্যাদের বিপক্ষে একটি পয়েন্ট পেলেও বিপক্ষে চলে যাবে জ্যোতির দল।