বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রোববার এ বিষয়ে একটি রিট আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রোববার বিচারপতি রাজিক আল জলিলের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এ সময় আদালত স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, জেলা ম্যাাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিস্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মেঘনা আলমের বাবা এ রিট দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে রাখার আদেশ দেন আদালত। গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রীয় নাশতার সাথে জড়িত সন্দেহে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। পরে আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে তাকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত ।