আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হজ মৌসুম সামনে রেখে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে—অনুমতি ছাড়া কেউ হজ পালনের চেষ্টা করলেই তাকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা গুনতে হবে। শুধু তাই নয়, এই কাজে সহায়তা করলেও রয়েছে এক লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান। খবর: গালফ নিউজ
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে জিলকদ মাসের ১ তারিখ (২৯ এপ্রিল) থেকে জিলহজ মাসের ১৪ তারিখ (১০ জুন) পর্যন্ত। এই সময়সীমার মধ্যে হজের অনুমতি ছাড়াই কেউ পবিত্র মক্কা নগরী বা আশপাশের পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না।
বিশেষ করে যাঁরা ভিজিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন, তাদের ওপর নজরদারি থাকবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। যদি তারা মক্কায় ঢোকার চেষ্টা করেন বা হজ পালন করতে যান, তাদের বিরুদ্ধেও একই দণ্ডবিধি প্রয়োগ হবে।
আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে অবৈধ হজযাত্রীদের সহায়তাকারীদের জন্য। ভিজিট ভিসায় আসা কারও হজ পালনে সহায়তা করা হলে, যেমন আশ্রয় দেওয়া, গাড়িতে করে পবিত্র স্থানে পৌঁছে দেওয়া কিংবা থাকার ব্যবস্থা করে দিলে দোষী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ১ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা দিতে হবে। এমনকি যাদের সাহায্য করা হয়েছে, সেই সংখ্যার উপর ভিত্তি করে জরিমানাও গুণিতক হারে বাড়বে।
এক্ষেত্রে হোটেল, বাসা, বেসরকারি বাসস্থান বা হজ ক্যাম্প—সব ধরনের জায়গাই এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। শুধু জরিমানাই নয়, অপরাধ প্রমাণিত হলে এই সহায়তাকারীর নিজস্ব যানবাহনও আদালতের রায় অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত করা হবে।
সৌদি সরকার এও জানিয়েছে, যদি কোনো বিদেশি নাগরিক ওভারস্টে করে কিংবা বৈধ অনুমতি ছাড়াই হজ পালনের চেষ্টা করেন, তাহলে তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং ভবিষ্যতে সৌদি আরবে ১০ বছর প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে—হজ মৌসুমে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে কোনো ধরনের শিথিলতা দেখানো হবে না। নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।