মোহামেডানের বোলিং ইনিংসে দুই-দুইবার আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান মোহামেডানের ক্রিকেটাররা। এর মধ্যে একবার তো আম্পায়ার শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকতের সঙ্গে বেশ জোরালোভাবে তর্ক করেন মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়। শুধু সৈকত নন ম্যাচের আরেক আম্পায়ার তানভীর আহমেদের সঙ্গেও তর্কে জড়ায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। তাতে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন এই ক্রিকেটার। এ ছাড়া শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন ইবাদত হোসেন। দুই ডিমেরিট পয়েন্টের সঙ্গে তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আম্পায়ারিং নিয়ে মাঠে অসন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি তর্কে জড়ান তাওহিদ হৃদয়। আনুষ্ঠানিক শুনানির পর এই জরিমানা করেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল। তবে শাস্তি পাওয়ার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে আম্পায়ারদের একহাত নেন তাওহিদ হৃদয়। সেখানে তিনি বলেন, ‘তারাও ভুল করে কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয় তারা ভুল করতেই পারে, মানুষ মাত্রই ভুল করে আমরাও করব! কিন্তু আমার কাছে মনে হয় ভুলটা স্বীকার করা উচিত, আমি যদি ভুল করি আমিও স্বীকার করব। কিন্তু আপনি যদি ভুল স্বীকার না করে বলেন এটা ভুল না তাহলে হবে না। সে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার তাকে আমরা সম্মান করি, আমরাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এখানে যারা ছিল বেশির ভাগই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে, সো এমন ম্যাচে দুই-একটা ডিসিশন অনেক বড় ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। যদি আবার হিতে অন্যদিকে যায় আমি মুখ খুলব ইনশাল্লাহ।’
শুধু খেলোয়াড়দের দোষ না দিয়ে ক্রিকেটারদের দিকও চিন্তা করার আহ্বান ছিল তার কণ্ঠে। হৃদয় বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তো এমন অনেক দেখেছি। ডোমেস্টিকে তো এর চেয়ে আরো বাজে হতো, এখন তো সেটাও হয় না। ডে বাই ডে আমরা খেলোয়াড়রা তাদের অনেক সম্মান করি, শুধু আমাদের খেলোয়াড়দের দোষ দিলে হবে না। আপনারা দেখেন আমাদের আম্পায়ার তাদের ডিপার্টমেন্ট দেখেন তারাও দু-একজন বাদে যে খুব ভালো করে এমন নয়। জাস্টিফাই করলে আমার কাছে মনে হয় দুই পাশ থেকেই দেখা উচিত।’