আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ‘ভারতে থাকা সমস্ত পাকিস্তানিদের খুঁজে খুঁজে করে তাড়ানোর নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন করে তিনি এ নির্দশ ।
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে (Pahalgam) পর্যটকদের উপর নৃশংস জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। দেশজুড়ে এই ঘটনার নিন্দা ও ক্ষোভের আবহে কেন্দ্র সরকারকে যে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে বিরোধীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ও গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরা সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের পহেলগামের ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে কাশ্মীরের বইসরন উপত্যকায় লস্কর-ই-তোইবার একটি শাখা সংগঠনের জঙ্গিরা হঠাৎ গুলি চালায় নিরীহ পর্যটকদের উপর। ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’ নামে খ্যাত সেই মনোরম অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। নিহতদের মধ্যে একজন নেপালের নাগরিকও রয়েছেন, বাকি ২৫ জন ভারতের ১৪টি রাজ্যের বাসিন্দা।
সরকার ইতিমধ্যে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, ইন্দাস জল চুক্তি স্থগিত, এবং আটারি সীমান্ত বন্ধের মতো নানা পদক্ষেপ করেছে। সামরিক প্রতিক্রিয়াও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। এই সময় সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন করে পাকিস্তানিদের খুঁজে খুঁজে তাড়ানোর কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই হামলায় জড়িত দুই লস্কর জঙ্গির বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের দক্ষিণাংশে এই বিস্ফোরণের ফলে ধ্বংস হয়ে যায় দু’টি বাড়ি। বিধ্বস্ত হওয়া বাড়িগুলোর মালিক আদিল হুসেন ঠোকার ও আসিফ শেখ। দু’জনেই সাম্প্রতিক পহেলগাম জঙ্গি হামলার মূল অভিযুক্ত বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, অতীতে এহেন হামলার ঘটনার তথা উরি ও পুলওয়ামা হামলার পর সার্জিকাল স্ট্রাইক ও বিমান হানার মাধ্যমে জবাব দিয়েছিল ভারত। এখন দেখার পহেলগামের ঘটনার প্রত্যুত্তরে কোন ঢঙে জবাব দেয় ভারত। সূত্র: দ্যা ওয়াল