প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ রবিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এসব তথ্যসন্ত্রাস দিয়ে আমাকে থামানো যাবে না।’
প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনকে উদ্দেশ্য করে হাসনাত লিখেছেন, ‘আমি সেই সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানাই, দয়া করে আমার বাসায় এসে দেখে যান আমি কতটা বিলাসী জীবন যাপন করি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘দিল্লী থেকে লিখে দেওয়া নিউজ করে যদি ভেবে থাকেন হাসনাত আব্দুল্লাহকে থামাতে পারবেন তাহলে আপনারা এখনও ভুলের জগতে আছেন। থামার হলে তো সেদিনই থেমে যেতাম। ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগ ফেরানোর বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাই রুখে দাঁড়াতাম না।’
আওয়ামী লীগের ‘ক্লিন ইমেজ’ ফেরানোর বিরুদ্ধেই তিনি সবসময় লড়ে এসেছেন দাবি করে হাসনাত বলেন, ‘থামার হলে আপনাদের মতোই ভারত বা র এদের তাবেদারি করে মন্ত্রী হওয়ার হিসাব করতাম। বিলাসিতাই যদি করতে চাইতাম তাহলে আমার এতো যুদ্ধ করার দরকার ছিল না আপনাদের সাথে মিলে মিশেই বিলাসি জীবন বেছে নিতে পারতাম।’
প্রতিবেদনটিকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমার ব্যাংক ব্যালেন্স, ট্যাক্স রিটার্ন- সবকিছুই সহজেই যাচাইযোগ্য। গতকালের মিটিংয়ে এসব বিষয়ে কোনো কথাই ওঠেনি, অথচ আমার নামে মনগড়া মিথ্যা ছাপানো হয়েছে।’
সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি লেখেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে এক টাকাও নিয়েছি— এটা কেউ প্রমাণ করুক, যেকোনো গ্রহণযোগ্য সরকারি বা বেসরকারি তদন্তের মাধ্যমে। প্রমাণ হলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।’
তিনি বলেন, ‘এই পত্রিকাটি বারবার দেশের সৎ ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যে কেউই তাদের আক্রমণের শিকার হয়েছে। আমি এই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন মাত্র।’
সম্প্রতি ‘র’-এর বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার পরপরই তার বিরুদ্ধে এমন রিপোর্ট প্রকাশকে কাকতালীয় নয় বলেও মন্তব্য করেন হাসনাত।
তিনি স্পষ্টভাবে জানান, ‘আমাকে মাইনাস করা গেলেও, যতদিন প্রাণ আছে, দিল্লির সাম্রাজ্যবাদ ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলেই যাবো। আমাদেরকে মেরে না ফেলা পর্যন্ত এই লড়াই চলবে ইনশাআল্লাহ।’