বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
সোমবার সকাল ৯টা পাঁচ মিনিটে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়।

এতে আরো অংশ নেন- বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন ও নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।

শোভাযাত্রায় প্রধান আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ভয়ার্ত মৃখাকৃতির মোটিফ। এটি থার্মোকল (শোলা) দিয়ে বানানো, যার উচ্চতা ১৬ ফিট। এছাড়াও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ধারণ করে ‘৩৬ জুলাই’ টাইপোগ্রাফি, মুগ্ধর পানির বোতল ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনদের লড়াই ও সংগ্রামের প্রতি সংহতি জানিয়ে তরমুজের ফালির মোটিফ রয়েছে শোভাযাত্রায়।
এছাড়াও শান্তির প্রতীক হিসেবে পায়রা, লোকজ সংস্কৃতি হিসেবে বাঘ, ইলিশ মাছ ও পালকি রয়েছে এই তালিকায়। এর বাইরেও শোভাযাত্রায় মাঝারি আকারের মোটিফের মধ্যে রয়েছে সুলতানি ও মুঘোল আমলের শাসকদের মুখোশ, তালপাতার সেপাই, রঙিন চরকি, পাখা, ঘোড়া, তুহিন পাখি ও শতফুট উচ্চতার লোকজ চিত্রাবলীর ক্যানভাস।
ছোট মোটিফ হিসেবে শোভাযাত্রায় ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, এছাড়াও লোকজ সংস্কৃতির অংশ হিসেবে বাঘের মাথা, পলো, মাছের চাই, মাথাল, লাঙল ও মাছের ডোলা রয়েছে। মোটিফ ছাড়াও শোভাযাত্রার আগে পুলিশ বাহিনীর পাঁচটি সুসজ্জিত ঘোড়ার সারি রয়েছে।
এদিকে শোভাযাত্রা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ও সতর্ক অবস্থান লক্ষ করা গেছে।