দাপুটে জয়ে নারী বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ১৭৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ২৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁতে গিয়ে মাত্র ২৮.৫ ওভারে ৯৩ রানে গুটিয়ে গেছে থাই কন্যারা। নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানে জয়ের রেকর্ড গড়েছে টাইগ্রেসরা। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জয়ের আগের রেকর্ড হয়েছিল ২০২৪ সালের নভেম্বরে। মিরপুরে আইরিশ কন্যাদের ১৫৪ রানে হারিয়েছিল দেশের মেয়েরা। পাঁচটি করে উইকেট শিকার করে থাইল্যান্ডকে ধসিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ফাহিমা খাতুন ও জান্নাতুল ফেরদাউস।
ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। পেলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। তার সঙ্গে ব্যাটিংয়ে দ্যুতি ছড়িয়ে ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন শারমিন আক্তার। ফিফটি হাঁকান ফারজানা হক। ত্রয়ীর ব্যাটিং দাপুটের সুবাদে নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরই গড়েছে বাংলাদেশ। একদিনের ক্রিকেটে এটাই দেশের মেয়েদের রেকর্ড সংগ্রহ।
জ্যোতি ৮০ বলে ১৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় উপহার দেন ১০১ রানের চমৎকার এক ইনিংস। তার ৭৮ বলের সেঞ্চুরিটি বাংলাদেশের নারী ওয়ানডে ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলেন শারমিনও। কিন্তু ১২৬ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ৯৪ রানের চমৎকার ইনিংস অপরাজিত থেকে যান। ইনিংস শেষ হয়ে যাওয়ায় জাদুকরী তিন অঙ্ক ছোঁয়া সম্ভব হয়নি তার। আর ৮২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে দলীয় স্কোরে ৫৩ রান যোগ করে ফেরেন ফারজানা।
তার আগে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় থাইল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২৭১/৩. ৫০ ওভার (নিগার ১০১, শারমিন ৯৪*, ফারজানা ৫৩; ফান্নিতা ১/২৮, থিপাচা ১/৪১ ও কামচোম্ফু ১/৫৮)।
থাইল্যান্ড: ৯৩/১০, ২৮.৫ ওভার (বুচাথাম ১৭, সুথিরুয়াং ২২, চাইওয়াই ১৫; ফাহিমা ৫/২১ ও সুমনা ৫/৭)।
ফল: বাংলাদেশ ১৭৮ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: নিগার সুলতানা জ্যোতি।