অর্থনীতি ডেস্ক: টানা দরপতনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টকএক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইএক্সের দর পতন হয়েছে প্রায় ৫০ পয়েন্টের মতো এবং পতনের এ হার প্রায় ১ শতাংশ। এরফলে দিনশেষে ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে।
দিনের শুরুতে সূচক ছিল ৫ হাজার ২২ পয়েন্ট। ডিএসইএক্সের পাশাপাশি ডিএসই শরিয়াহ সূচকের ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচকের ১ দশমিক ২০ শতাংশের পতন হয়েছে। এ নিয়ে টানা ৯ কার্যদিবসে ডিএসই সূচকের পতন হয়েছে। আর এ সময়ে সূচকের পতন হয়েছে ২৩৩ পয়েন্ট।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, দিনের শুরুতে প্রথম ১৫ মিনিট সূচকের উর্ধ্বমুখী ধারায় লেনদেন শুরু হলেও এরপর ধারাবাহিকভাবে বাজারে পতন ঘটে। লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ ইস্যুরই দর কমেছে। দিনশেষে ৩৯৮টি ইস্যুর মধ্যে ৩০০টিরই দর কমেছে। এ হিসাবে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৫ শতাংশের বেশি ইস্যুরই দর কমেছে।
বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম হতাশা তৈরি হয়েছে। বাজারের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) দায়ি করে আসছেন তারা। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বর্তমান বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ পুঁজিবজার বিষয়ে একজন অনভিজ্ঞ ব্যক্তি।
তার নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। রাশেদ মাকসুদের বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে যোগদানের পর এ পর্যন্ত ডিএসই সূচকের ৯০০ পয়েন্টেরও বেশি পতন হয়েছে।
এ কারণে তার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করে আসছেন। গতকাল বুধবারও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিয়ে তার পদত্যাগের দাবি জানান।
বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম আমার দেশকে বলেন, বাজার তার নিজস্ব গতিতে চলছে। বিএসইসির পক্ষ থেকে স্টক এক্সচেঞ্জ বা ব্রোকারেজ হাউসের কাউকে কোন ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে না; যা আগের কমিশন থেকে দেওয়া হতো। সুতরাং বাজারের পতনের সঙ্গে কমিশনের ব্যর্থতার কিছুই নেই। এখন যদি অর্থনৈতিক কোন কারণে কিংবা ভিন্ন কোন কারণে এটা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কমিশন অবশ্যই সে কারণগুলো খতিয়ে দেখবে।