মহসীন কবির: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এবং সাম্প্রতিক সময়ে দলটির ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদে রাজধানীর উত্তরায় মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় উত্তরার বিএনএস সেন্টার থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে জসিম উদ্দিন মোড় হয়ে আজমপুর এলাকায় গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিলে শত শত লোক অংশ নেন। তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। তারা অবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ খুনিদের গ্রেপ্তারে স্লোগান দিতে থাকেন। আজমপুরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা পুলিশকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগ রাজধানীতে সাম্প্রতিক সময়ে মাঝে মধ্যে মিছিল বের করছে। কিভাবে তারা প্রশাসনের নাকের ডগায় মিছিল করে, তা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন বক্তারা। ভিডিও ফুটেজ দেখে এবং আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
এয়ারপোর্ট কসাইবাড়ী এলাকায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেছে বলে জানা যাচ্ছে-এমন প্রশ্নে ডিএমপির উত্তরা ডিভিশনের ডিসি মহিদুল ইসলাম আমার দেশকে জানান, ভোর ভোর ৬ টার দিকে ১৫-২০ জন লোক বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন দিক থেকে এসে এয়ারপোর্ট থানার এলাকার কসাইবাড়ী এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে যায়। ৫-৬ মিনিটের মতো স্থায়ী হয় মিছিলটি। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে পলাতক অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বেশ কয়েকমাস দলটির নেতা-কর্মীরা অনেকটা আত্মগোপনে ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে নতুন করে সরব হওয়ার চেষ্টা করছে বিতর্কিত এই দলটির কিছু সংখ্যক নেতা-কর্মী। এর আগে চলতি সপ্তাহে রামপুরা-বাড্ডা এলাকায়ও মিছিল করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এর আগে গুলিস্তানে নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের নেতৃত্বে মিাছিল করে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। সে মিছিল থেকে ইউনূস সরকারের পদত্যাগসহ জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
সম্প্রতি পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম আমার দেশের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আওয়ামী লীগতো নিষিদ্ধ হয়নি। তাই আমরাতো ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার করতে পারি না।
উত্তরার এই বিক্ষোভ মিছিলের মধ্য দিয়ে আবারো ছাত্র-জনতা মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে নেটিজনদের অনেকে মন্তব্য করেছেন। নেটিজনদের অনেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে আর কালক্ষেপণ না করে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান।